Description
এথিক্যাল হেকিং কি??
হ্যাকিং নামটি শুনলেই কেমন একটা জানার ইচ্ছা করে, হ্যাকিং কি,কিভাবে হ্যাক করা যায়, কি কি হ্যাক করা যায় ইত্যাদি। সত্যি বলতে সবারই জানতে ইচ্ছে করে। সবাই চাই সাধারণ মানুষের থেকে একটু আলাদা কিছু জেনে নিজেকে সবার মাঝে পেশ করতে।সবকিছুর ভাল মন্দ ২টা দিকই রয়েছে। যেমন কারো কাছে পিস্তল থাকার মানে এই নয় সে অপরাধী, সে নিজেকে রক্ষা করার জন্যও পিস্তল রাখতে পারে। ঠিক তেমনি আমাদের হ্যাকিং হল ইথিক্যাল হ্যাকিং বা নৈতিক হ্যাকিং। হ্যাকিং ২ প্রকার, হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার বা ইথিক্যাল হ্যাকার এবং ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার বা ম্যালিসিয়াস হ্যাকার। ম্যালিসিয়াস হ্যাকাররা কোন দেশ, কোম্পানি কিংবা প্রতিষ্ঠানের সিস্টেমের রুল এবং সিকিউরিটি ভেঙ্গে ফেলে এবং মূল সিস্টেমের ক্ষতি সাধন করে। এই ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রয়োজন হয় ইথিক্যাল হ্যাকারদের। এথিক্যাল হ্যাকিং হচ্ছে, হ্যাকার কোন সিস্টেম অ্যাডমিন বা সফটওয়্যার কোম্পানি থেকে অনুমতি নেওয়ার পরে সেই সিস্টেমের ত্রুটি চেক করতে আরম্ভ করে। সে যদি সিস্টেমের সিকিউরিটি ব্রেক করেও ফেলে তবে এটা করার জন্য তার সম্পূর্ণ অনুমতি থাকে, সে ম্যালিসিয়াস হ্যাকারের মতো বিনা অনুমতিতে কাজ করে না।
কেন শিখবেন ??
সত্যি বলতে পেছনের কয়েক বছর ধরে এথিক্যাল হ্যাকার বা হোয়াইট হ্যাট হ্যাকারের চাহিদা অনেক বেড়েই চলছে। পৃথিবী আরো বেশি ডিজিটাল হয়ে উঠার সাথে সাথে সবকিছুতেই চলে আসছে কম্পিউটিং এবং নেটওয়ার্কিং; আর তার সাথে বাড়ছে নিরাপত্তা ঝুঁকি, আর এই ঝুঁকি কমানোর জন্যই প্রয়োজন নৈতিক হ্যাকারের।
উন্নত বিশ্বের কথা না হয় বাদই দিলাম, আমাদের দেশের দিকেই তাকিয়ে দেখুন, আমাদের দেশে পরীক্ষার রেজাল্ট থেকে শুরু করে, চাকুরির আবেদন, টিকিট কাটা, বেতন গ্রহণ ইত্যাদি সমস্ত কিছু এখন ইন্টারনেট/ওয়েবসাইট/ বা অ্যাপ্লিকেশন নির্ভর হয়ে উঠছে। শুধু সরকারি নয়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোও তাদের ব্যবসা এবং সিকিউরিটি নিয়ে অনেক বেশি সতর্ক। আমাদের দেশে গড়ে উঠছে অনেক ই-কমার্স সাইট, যাদের সিকিউরিটি অত্যন্ত টাইট রাখা প্রয়োজনীয়।
এথিক্যাল হ্যাকিং এর মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যক্তিগত সুরক্ষা এবং তাছাড়া অনলাই সেইফটি নিশ্চিত করতে পারবেন। সরকারী বেসরকারী ভাবে বাংলাদেশে নিয়োগ চলছে সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞদের। এছাড়াও দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের সাইবার সিকুরিটিতে ইথিক্যাল হ্যাকারদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। অনলাইন মার্কেট প্লেসেও রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। অনেকেই সাইবার নিরাপত্তার উপর ফ্রিল্যান্সিং করে হয়ে উঠছে স্বাবলম্বী। এই সেক্টরে চাহিদা বেশি কিন্তু হোয়াইট হেকারের সংখ্যা অনেক কম। তথ্য প্রযুক্তির এগিয়ে যেতে চাইলে এথিক্যাল হেকিং এর কোন বিকল্প নেই।